ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাতের সঙ্গে যে খাবারগুলো খাওয়া বিপজ্জনক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • ৭২ বার

ভাত বাঙালির প্রধান খাদ্য। কারণ, আমরা সবাই মাছে-ভাতে বাঙালি। বেশির ভাগ লোকজন তিন বেলাই ভাত খেয়ে থাকেন, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। অন্য যা কিছুই খাওয়া হোক না কেন, ভাত না খেলে ক্ষুধা মিটে না ও তৃপ্তিও হয় না, মোটকথা ভাত খেতেই হবে। অন্যান্য দেশে যেমন- ভারত, চীন ও জাপানের নাগরিকরা ভাত খেয়ে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ভাত হলো অ্যামিনো অ্যাসিডের দুর্দান্ত উৎস। অ্যামিনো অ্যাসিড মানবদেহের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাত খাওয়া মস্তিষ্কের সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এবং মনকে খুশি করতে সহায়তা করে। এই কারণেই ভাত খেলে মনে খুশি এবং তৃপ্তির অনুভূতি হয়।

১৫০ গ্রাম ভাতে ২০০ ‌ক‌্যালোরি থাকে। প্রয়োজনের বেশি ভাত খাওয়ায় রাশ টানতে না পারলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা অসুখ বাসা বাঁধে। এতে উপস্থিত স্টার্চ এবং রিফাইন্ড সুগার ওবেসিটির সমস্যা ডেকে আনে।

ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ভাত খান না। পুষ্টিবিদদের কিন্তু অন্য মত। তারা জানাচ্ছেন, এই ধারণা ভুল। সঠিক সময়ে এবং পরিমাণ মেপে ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। বরং ভাত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। নানা ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। ভাত শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ভাতের সঙ্গে খেলে সমস্যা হতে পারে। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা।

আলু

মাংস কিংবা পাতলা মাছের ঝোল- আলু না হলে ঠিক জমে না। কিন্তু ভাতের সঙ্গে আলু খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। এই দুটি একসঙ্গে খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। ওজন বেড়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই এই দুটি খাবার একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। খেলেও পরিমাণ যেন একেবারে অল্প হয়।

রুটি

অনেকেই রাতের খাবারে ভাত এবং রুটি একসঙ্গে খান। কিন্তু এই ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ, ভাত এবং রুটি দুটোতেই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে একসঙ্গে খেলে গ্যাস, অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যা হতেই পারে।

ফল

ভাত এবং ফল দুটোই শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু এই দুটি খাবার একসঙ্গে কখনো খাওয়া উচিত নয়। হজমের সমস্যা থেকে গ্যাস-অম্বল, নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থেকে যায় ফল এবং ভাত একসঙ্গে খেলে।

মটরশুঁটি

ভাতের সঙ্গে এমন কিছু খাবার খেতে বারণ করা হয়, যাতে স্টার্চের পরিমাণ বেশি। মটরশুঁটি এবং ভুট্টা হলো সেই গোত্রের খাবার। বদহজম, বুক জ্বালা এবং গ্যাসের সমস্যা এড়াতে এগুলো ভাতের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।

সালাদ

ভাতের সঙ্গে অনেকেই সালাদ খান। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের সঙ্গে সালাদ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমের গোলমাল রয়েছে, ভাতের সঙ্গে কাঁচা কোনো ফল বা সবজি এড়িয়ে যাওয়া ভালো। তাতে সুস্থ থাকবে পেট।

শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত ভাত খেতে পারেন। প্রতিদিনের ডায়েটে ছোট এক বাটি ভাত সঙ্গে এক বাটি ডাল, দুই বাটি শাক-সবজি রাখুন। যে কোনো একটি প্রোটিন রাখুন। এতে ক‌্যালোরি ইনটেক কম হবে আর ব‌্যালেন্সড ডায়েট থাকবে।

কর্ন

আলুর মতোই ভাতের সঙ্গে কর্ন খাওয়া উচিত না। কর্নে স্টার্চের পরিমাণ বেশি। স্টার্চ এমনিতে শরীরের জন্য ভাল নয়। তার উপর ভাতে থাকা ক্যালোরি এবং স্টার্চ একসঙ্গে পেটে গেলে মোটা হয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভাতের সঙ্গে যে খাবারগুলো খাওয়া বিপজ্জনক

আপডেট টাইম : ১২:৩০:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

ভাত বাঙালির প্রধান খাদ্য। কারণ, আমরা সবাই মাছে-ভাতে বাঙালি। বেশির ভাগ লোকজন তিন বেলাই ভাত খেয়ে থাকেন, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। অন্য যা কিছুই খাওয়া হোক না কেন, ভাত না খেলে ক্ষুধা মিটে না ও তৃপ্তিও হয় না, মোটকথা ভাত খেতেই হবে। অন্যান্য দেশে যেমন- ভারত, চীন ও জাপানের নাগরিকরা ভাত খেয়ে থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ভাত হলো অ্যামিনো অ্যাসিডের দুর্দান্ত উৎস। অ্যামিনো অ্যাসিড মানবদেহের কার্যকারিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাত খাওয়া মস্তিষ্কের সেরোটোনিন নিঃসরণে সাহায্য করে। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে এবং মনকে খুশি করতে সহায়তা করে। এই কারণেই ভাত খেলে মনে খুশি এবং তৃপ্তির অনুভূতি হয়।

১৫০ গ্রাম ভাতে ২০০ ‌ক‌্যালোরি থাকে। প্রয়োজনের বেশি ভাত খাওয়ায় রাশ টানতে না পারলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি নানা অসুখ বাসা বাঁধে। এতে উপস্থিত স্টার্চ এবং রিফাইন্ড সুগার ওবেসিটির সমস্যা ডেকে আনে।

ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই ভাত খান না। পুষ্টিবিদদের কিন্তু অন্য মত। তারা জানাচ্ছেন, এই ধারণা ভুল। সঠিক সময়ে এবং পরিমাণ মেপে ভাত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। বরং ভাত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে। নানা ধরনের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। ভাত শরীরের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। কিন্তু কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো ভাতের সঙ্গে খেলে সমস্যা হতে পারে। রইল তেমন কয়েকটি খাবারের তালিকা।

আলু

মাংস কিংবা পাতলা মাছের ঝোল- আলু না হলে ঠিক জমে না। কিন্তু ভাতের সঙ্গে আলু খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা। এই দুটি একসঙ্গে খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। ওজন বেড়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে। তাই এই দুটি খাবার একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। খেলেও পরিমাণ যেন একেবারে অল্প হয়।

রুটি

অনেকেই রাতের খাবারে ভাত এবং রুটি একসঙ্গে খান। কিন্তু এই ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ, ভাত এবং রুটি দুটোতেই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে একসঙ্গে খেলে গ্যাস, অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যা হতেই পারে।

ফল

ভাত এবং ফল দুটোই শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু এই দুটি খাবার একসঙ্গে কখনো খাওয়া উচিত নয়। হজমের সমস্যা থেকে গ্যাস-অম্বল, নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি থেকে যায় ফল এবং ভাত একসঙ্গে খেলে।

মটরশুঁটি

ভাতের সঙ্গে এমন কিছু খাবার খেতে বারণ করা হয়, যাতে স্টার্চের পরিমাণ বেশি। মটরশুঁটি এবং ভুট্টা হলো সেই গোত্রের খাবার। বদহজম, বুক জ্বালা এবং গ্যাসের সমস্যা এড়াতে এগুলো ভাতের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।

সালাদ

ভাতের সঙ্গে অনেকেই সালাদ খান। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, ভাতের সঙ্গে সালাদ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের হজমের গোলমাল রয়েছে, ভাতের সঙ্গে কাঁচা কোনো ফল বা সবজি এড়িয়ে যাওয়া ভালো। তাতে সুস্থ থাকবে পেট।

শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পরিমিত ভাত খেতে পারেন। প্রতিদিনের ডায়েটে ছোট এক বাটি ভাত সঙ্গে এক বাটি ডাল, দুই বাটি শাক-সবজি রাখুন। যে কোনো একটি প্রোটিন রাখুন। এতে ক‌্যালোরি ইনটেক কম হবে আর ব‌্যালেন্সড ডায়েট থাকবে।

কর্ন

আলুর মতোই ভাতের সঙ্গে কর্ন খাওয়া উচিত না। কর্নে স্টার্চের পরিমাণ বেশি। স্টার্চ এমনিতে শরীরের জন্য ভাল নয়। তার উপর ভাতে থাকা ক্যালোরি এবং স্টার্চ একসঙ্গে পেটে গেলে মোটা হয়ে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।